এদিকে ওই নারীর সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার হাসপাতালে যাওয়া স্থানীয় এক দৈনিকের সাংবাদিককে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে খোঁজ চলছে।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, করোনায় আক্রান্ত মৃত নারী অসুস্থ অবস্থায় এক রাত নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকায় ওই আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। সেখানে দুই পরিবারের আট জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই নারীর খুব ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে থাকা এক আত্মীয় ও স্থানীয় সাংবাদিককে কোয়ারেন্টিনে আনা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, শুক্রবার সকালে ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় তার সংস্পর্শে আসা সদর জেনারেল হাসপাতালের এক ওয়ার্ডবয়কে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। পাশাপাশি এক চিকিৎসক ও নার্সসহ আরও ১০ জনকে কোয়ারেন্টিনের আওতায় নেয় জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। গত ২৯ মার্চ ওই নারী ঠাণ্ডা-জ্বরে অসুস্থ হলে স্বজনরা প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর জেলারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৩০ মার্চ সেখানে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি জানানোর পর আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ মরদেহের নমুনা সগ্রহ করে নিয়ে গেলে ২ এপ্রিল রিপোর্টে বলা হয় তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।