গোলাম মোস্তফার বাড়ি দেবীগঞ্জের চেংঠিহাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের ধনু চেংঠি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে। গত সাত-আট দিন আগে তিনি গাজীপুর থেকে বাড়িতে ফেরেন। সেখানে তিনি একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রত্যয় হাসান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হাসান সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা এলাকাবাসীকে এ ঘটনায় আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন।
চেংঠিহাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী মো. ফজলুল হক বলেন, ‘দুপুরে মোস্তফা তাকে মোবাইল ফোনে জানান তার কয়েকদিন ধরে জ্বর। ওষুধ খাওয়ার পরও কমছে না। আবার দুপুর থেকে গলা ও শরীর ব্যথা করছে। তিনি করোনার টেস্ট করতে চান। পরে বিষয়টি আমি দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্খ্য কমপ্লেক্সে অবহিত করি। এরপর রংপুরে পিসিআর মেশিনে পরীক্ষার জন্য তার বাবাসহ তাকে পাঠানো হয়েছে।’
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, রংপুরে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা না করা না হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে রাখা হবে। পরদিন তার নমুনা রংপুর পাঠানো হবে।
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার পঞ্চগড় জেলা থেকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ছয় জনের নমুনা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।