দাউদকান্দিতে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে লকডাউনের পর একব্যক্তির মৃত্যু

কুমিল্লাকুমিল্লার দাউদকান্দিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, এমন সন্দেহে লকডাউন করা হয়েছিল একটি বাড়ি। এর ৯ ঘণ্টা পর জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন আলেখ খান (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। পেশায় তিনি কৃষক ছিলেন। লকডাউন থাকা অবস্থায় রবিবার সকাল ৮টায় তিনি মারা যান।

মৃত আলেখ খান দাউদকান্দি উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলা গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে শনিবার রাত ১১টায় তার অসুস্থতার লক্ষণের সঙ্গে করোনার উপসর্গ সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হওয়ায় তার পরিবারসহ একটি বাড়ির সাতটি পরিবারকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়।

দাউদকান্দি উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শাহিনুর আলম সুমন জানিয়েছেন, ‘আলেক খান নামের ওই ব্যক্তি ৪-৫ আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জ্বর, সর্দি এবং কাশিজনিত রোগের চিকিৎসা নিয়ে যান। শনিবার পূর্বের সমস্যাগুলোর সঙ্গে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পরিবার। চিকিৎসকেরা তার বাড়িতে গিয়ে অসুস্থতার লক্ষণকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে ওই কৃষকের পরিবারসহ একটি বাড়ির ৭টি পরিবারকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়।’

তিনি আরও জানান, রবিবার সকালেই মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে সরকারি রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানোর সিদ্ধান্ত ছিল। এর মধ্যেই সেই ব্যক্তিটি মারা গেছেন।

দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, ‘একজনের করোনা আক্রান্ত সন্দেহে মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলা গ্রামে রাতে একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। সেখানে আক্রান্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরিবারও রয়েছে। তার অসুস্থতার লক্ষণকে করোনার উপসর্গের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হওয়ায় সকালে নমুনা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সকাল ৮টায় সেই ব্যক্তি মারা গেছেন। তারপরও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠাবে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে মারা যাওয়া ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা।’