এক সময়ের জাতীয় অধিনায়ক এখন বিসিবি পরিচালক। তার ওপর মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য। তাই দায়িত্বটা একটু বেশিই এখন দুর্জয়ের। নির্বাচনি এলাকার তিনটি উপজেলায় কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে দেখা গেছে তাকে। মহৎ এই কাজ করতে সেই কাক ডাকা ভোরে খাবারের প্যাকেট নিয়ে হাজির হচ্ছেন মানুষের বাড়িতে। নিজের এই উদ্যোগ নিয়ে বললেন, ‘একজন ক্রিকেট যোদ্ধা হয়ে জাতির এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ঘরে বসে থাকতে পারি না। বিবেকের তাড়নায় করোনার প্রভাবে কর্মহীন হওয়া অভুক্ত মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা তুলে দেওয়া হচ্ছে আমার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।’
সাবেক এই ক্রিকেটার এখন ছুটে চলছেন মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে। এই তিনটি উপজেলায় তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার অসহায় মানুষের মাঝে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের দিয়ে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন।
গত তিন দিন ধরে এসব এলাকায় হাজির হয়েছেন স্ব-শরীরেই। এখানে নিজস্ব অর্থে ক্রয়কৃত খাদ্য-সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তার পরেও তিনি মনে করেন এই কাজটা এখন বড় চ্যালেঞ্জের, ‘ক্রিকেটের জন্য যেমন অক্লান্ত ঘাম ঝরিয়ে সফলতা পেয়েছি, তেমনি জাতির এই দুর্যোগে দুস্থ-গীরব মানুষের মুখে দু মুঠো খাবার তুলে দেওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ।’
এই সময়ে নির্বাচনি এলাকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি সবাই নিরাপদে ঘরেই অবস্থান করেন। এছাড়া ত্রাণের জন্য অহেতুক কেউ যেন অস্থির না হন, সে বিষয়টিতেও জোর দিয়েছেন, ‘অহেতুক ত্রাণের জন্য কেউ বাইরে ছোটাছুটি করবেন না। ব্যক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি সরকারের খাদ্য সহায়তা, স্থানীয় প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের সমন্বয়ে আপনাদের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।’
এমন উদ্যোগে সঙ্গী হতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন দুর্জয়।