ফুলবাড়িতে অসহায়দের সহায় ‘ফুডবাস্কেট’

দিনাজপুরে অসহায়দের সহায় ফুডবাস্কেট। করোনাকালে অসহায়দের পাশে থাকতে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার ইউএনও। যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফুডবাস্কেট’। যা সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি ভূমিকা রাখছে।

এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি চোখে পড়েছে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সামনে। দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম রাখা হয়েছে সেখানে, যাতে লেখা ‘ফুডবাস্কেট’। এই বাস্কেট রাখার উদ্দেশ্যই হচ্ছে এই লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ।

উপজেলার সামর্থ্যবান মানুষেরা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রেখে যাচ্ছেন এই বাস্কেটে। যেখান থেকে খাদ্য-সামগ্রী সংগ্রহ করে উপজেলার গরীব-দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, যারা বেশি পরিমাণ পণ্য-সামগ্রী দিচ্ছেন তারা মিলনায়তনের গোডাউনে রেখে যাচ্ছেন। সেই গোডাউনে পাঁচজন শ্রমিক একটি ব্যাগে এক সপ্তাহের প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যসহ একটি সাবান দিয়ে প্যাকেট করছেন।

প্যাকেট করা হচ্ছে পণ্য-সামগ্রী। এরই মধ্যে গত ২৮ মার্চ থেকে যাত্রা শুরু করা ফুডবাস্কেট এখন বিশাল খাদ্য ভাণ্ডার। এই ফুডবাস্কেটের উদ্যোক্তা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম চৌধুরী। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, ‘যেকোন দুর্যোগ ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ছাড়া কখনোই মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই করোনা নিয়ে তৈরি হওয়া দুর্যোগ সামলাতে ফুলবাড়ী উপজেলার সকল শ্রেণিপেশার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতেই এই প্রয়াস। এতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ সহযোগিতা করছে।’

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম চৌধুরী আরও জানিয়েছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলমের নির্দেশনায় তিনি এই উদ্যোগটি নিয়েছেন। সেটি বাস্তবায়নের পর কয়েকদিন শহরে স্থানীয়ভাবে মাইকিংয়ের মধ্য দিয়ে এর প্রচারণা চালানো হয়।

ফুডবাস্কেট থেকে পাওয়া নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। ফুডবাস্কেটের সমন্বয়ক ফুলবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম হামিম আশরাফ বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত ফুডবাস্কেটে ৯ হাজার কেজি চাল, ১ হাজার ৪৬৫ কেজি ডাল, ৬ হাজার ৫০ কেজি আলু, প্রতিটি ৫০০ মিলিলিটারের ২ হাজার ৭৯৮টি তেলের বোতল, ৩ হাজার লবনের প্যাকেট, ৩ হাজার সাবান এবং নগদ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা হয়েছে।