যশোর শহরের শংকরপুর শাহী জামে মসজিদের ইমাম মুফতি রফিকুল ইসলাম বলেন, আছরের আজানের আগে সরকারি নির্দেশনা হাতে পাই। এরপর আজান শেষে সে নির্দেশনা প্রচার করা হয়েছে। প্রচারের কারণে আছরের নামাজে মাত্র ১০ জন অংশ নেন। নামাজশেষে মুসল্লিদের আবারও সরকারি নির্দেশনার কথা বলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মসজিদসহ সব উপসানালয়ে প্রার্থণাকারীদের জনসমাগম বন্ধে জেলা তথ্য অফিসের পক্ষ থেকেও প্রচারণা চালানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তথ্য অফিসের প্রচার গাড়ি এ প্রচারণা চালায়।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা এসএম কবির জানান, করোনার বিস্তার রোধে সব ধর্মের লোকজনকে ঘরে প্রার্থনা করার জন্য প্রচারণা শুরু হয়েছে। বিকাল ৩টার পর থেকে প্রচারণার গাড়ি প্রতিটি এলাকার মোড়ে মোড়ে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। রাত ৯টা পর্যন্ত এ প্রচারণা চলে। আগামী কয়েকদিন এ প্রচারণা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মুসল্লিদের ঘরে নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ওই নির্দেশনার আলোকে যশোরের জেলা প্রশাসন মসজিদগুলো থেকে সরকারি নির্দেশনা প্রচার করতে নির্দেশ দেয়।