ঢাকায় দাদির মৃত্যুর পর কুমিল্লায় আসা দুই শিশুর দেহেও করোনা শনাক্ত

দুই শিশু আ্রকান্তের পর লকডাউন করা হয়েছে তাদের বাড়িকরোনায় দাদির মৃত্যুর পর কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় এসে দুই শিশুও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের একজনের বয়স সাত বছর ও অন্যজনের বয়স চার। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদাত হোসেন।

সূত্র জানায়, ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাদের দাদির (৬৫)। শিশুদের বাবা ও চাচা পেশায় ব্যবসায়ী। সোমবার তারা কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামে চলে আসেন। মঙ্গলবার গ্রামের দুইটি বাড়ি লকডাউন করে প্রশাসন।

সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের এই ব্যবসায়ী ও দুই শিশুর বাবা পরিবার নিয়ে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করেন। তার মায়ের করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত রবিবার তাকে প্রথমে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে একই দিন রাতে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর তার মৃত্যু হয়। মৃতের শরীর থেকে নেওয়া আলামত পরীক্ষায় পজেটিভ ফলাফল আসে।

কুমিল্লা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.শাহাদাত হোসেন জানান, পরিবারের সদস্যদের নমুনা আইডিসিআরে পাঠালে দুই শিশুর করোনার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাদের বাড়িতে রেখে এখন চিকিৎসা দেওয়া হবে।

বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরুল হাসান জানান, বুড়িচংয়ের জিয়াপুরের ওই পরিবারে ছয়জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার মধ্যে দুইটি শিশুর করোনার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। জিয়াপুর গ্রামটি লকডাউন করা হয়েছে।