জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আলাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার সকালে ওই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় প্রশাসন এ অবস্থায় নীরব ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়লো।
সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু লাখো মানুষের সমাগমের বিষয়ে বলেন, ‘জানাজায় অংশ নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও ঢাকা থেকে লোকজন আসে। আমরা চিন্তাও করতে পারিনি যে এত লোকসমাগম হবে। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না।’
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, ‘নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ছোট পরিসরে জানাজা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আমাদের কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা তারা রাখেননি।’
সরাইলের পানিশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিন ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শনিবার বিকাল ৫টার পর উপজেলার ছয়টি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। গ্রামগুলো হলো, বেড়তলা, বলিবাড়ী, সীতাহরণ, শান্তিনগর, মইশার, টিঘর।’
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় লকডাউন চলছে। এরইমধ্যে মাওলানা জোবায়ের শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাসপাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে শনিবার সকাল ১০টায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা শেষে সরাইল উপজেলার বেড়তলায় অবস্থিত জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে তাকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন:
মানুষ সচেতন থাকায় ওই জানাজায় লোক কম হয়েছে: খেলাফত মজলিস মহাসচিব
জানাজায় শরিকদের হোমকোয়ারেন্টিন করবে পুলিশ, সরাইলে ছয় গ্রাম লকডাউন
লকডাউন ভেঙে জানাজায় লাখো মানুষের ঢল!