জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৪৭২ জন জেলে নিবন্ধিত।
জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষিত এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে সরকার। এসময় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে জেলায় ৪৩০টি অভিযান পরিচালিত হয়। ৫৫টি মোবাইল কোর্ট হয়। এক বছর করে জেল দেওয়া হয় ছয় জনকে। এছাড়া ১০ থেকে ১৫ দিন করে জেলা দেওয়া হয় ৩৭ জনকে। এছাড়া মামলা করা হয় ৮৮টি। অর্থদণ্ডও করা হয় বিভিন্নজনকে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলাল হোসেন জানান, ‘আজ থেকে ইলিশসহ অন্যান্য ধরনের মাছ শিকারে আজ কোনও বাধা নেই। তবে সব কাজই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানতে হবে। এটা সবার জন্য সমান। তবে নদীতে মাছ ধরার ব্যাপারে কোনও নিষেধাজ্ঞা নাই। জেলেরা যাতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলেন তা তদারকি করা হবে।’
তিনি আরও জানান, নিবন্ধিত ৪৩ হাজার ৪৭২ জন জেলের জন্য দুই কিস্তিতে মোট ৩১ হাজার ৬৮৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রথম কিস্তির চাল দেওয়া হয়েছে। বাকি কিস্তির চাল ৭মে’র মধ্যে জেলেদের মধ্যে স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে।