ভুল চিকিৎসায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর অভিযোগ

অভিযুক্ত হেদায়েত উল্লাহবরিশালের গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ পালরদীর আনোয়ারা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে  আফরোজা আক্তার মুন্নি (২৩) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও কথিত চিকিৎসক হেদায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। এ ঘটনায় হেদায়েত উল্লাহসহ পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহত মুন্নি জেলার উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নের দত্তেস্বর গ্রামের কুদ্দুস তালুকদারের স্ত্রী।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাতে মুন্নির স্বামী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশ ক্লিনিকের টেকনোলজিস্ট অজয় হালদার এবং অপারেশন থিয়েটারের সহযোগী রিপন মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করেছে। তবে হেদায়েত উল্লাহ পালিয়ে আছেন। গ্রেফতারকৃতদের শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ সময় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী জানান, প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার পর সিজার অপারেশনের জন্য মুন্নিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বিকালে হেদায়েত উল্লাহ মুন্নিকে অজ্ঞান করার জন্য মেরুদণ্ডে ইনজেকশন পুশ করার সঙ্গে সঙ্গে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে ওই দিন সন্ধ্যায় মুন্নির স্বজনরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এর আগে হেদায়েত উল্লাহসহ অন্য চিকিৎসকরা ক্লিনিক থেকে পালিয়ে যান।

গৌরনদী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতে মুন্নির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে হেদায়েত উল্লাহকে প্রধান আসামি করে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। রাতে এজাহারভুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদেরও গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, হেদায়েত উল্লাহ নিজেকে এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে অপচিকিৎসা করে আসছেন।  গত বছরের মে মাসে অপচিকিৎসার অভিযোগে হেদায়েত উল্লাহ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন কারাভোগ করে জামিনে বের হয়ে পুনরায় অপচিকিৎসা শুরু করেছেন।