১০ জনের মৃত্যুর পর হোমিও দোকান থেকে ৪ হাজার বোতল স্পিরিট উদ্ধার

Photo-01

দিনাজপুরের বিরামপুরে নেশা জাতীয় বিষাক্ত স্পিরিট (স্থানীয়ভাবে অ্যালকোহল ও চোলাই নামে পরিচিত) পান করে ১০ জনের মৃত্যুর পর অভিযানে নেমেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) বিকালে পৌর শহর নতুন বাজারের সরকার হোমিও চিকিৎসালয় থেকে ১৯টি কার্টনে ৪ হাজার ১০৪ বোতল স্পিরিট জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় সরকার হোমিওর মালিক আসাদ সরকারের নামে বিরামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এদিকে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী হোমিও হলের মালিক আব্দুল মান্নানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

স্পিরিট উদ্ধারের ব্যাপারে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের দিনাজপুর কার্যালয়ের পরিদশর্ক মো. লোকমান হোসেন জানান, বিরামপুরে বেশ কিছু হোমিও চিকিৎসালয়ে অবৈধভাবে স্পিরিট (অ্যালকোহল) বিক্রি হচ্ছে জেনে সরকার হোমিও চিকিৎসালয়ে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানটি পরিচালনা করেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাজিউল ইসলাম, বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মিথুন সরকার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুর রহমান।

এর আগে, উপজেলায় ৬ নং মাহমুদপুর গ্রামে বিষাক্ত স্পিরিট পান করার কারণে বুধবার (২৭ মে) সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকাল পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রীসহ ১০ জন মারা যায়। এই ঘটনায় পল্লী হোমিও হলের মালিক আব্দুল মান্নানকে আটক করা হয়। 

বিষাক্ত স্পিরিট পান করে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলো- পৌরশহরের ৬নং ওয়ার্ডের মাহমুদপুর এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মতিন (২৭), তোজাম্মেল হোসেনের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৩), একই এলাকার সুলতান মাহমুদের ছেলে মহসিন আলী (৩৮), হঠাৎপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রী মঞ্জুয়ারা (৩৫), শহরের ইসলাম পাড়া এলাকায় তাপস কুমারের ছেলে অমৃত রায় (২৫), মাহমুদপুর এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে সোহেল রানা (৩০), আবুল হোসেনের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৪২), আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল আলিম (৪০) এবং উপজেলার কাজিপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৫০)।

এছাড়াও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুর সাত্তার (৩৭), শহিদুল ইসলামের ছেলে হৃদয় (২১), গোলাম মোস্তফার ছেলে জার্জেস শাহ (৩৮) ও আব্দুল খালেকের ছেলে শাহিন (৩২)।