ওসি বলেন, ‘বাচ্চা ফুটানোর জন্য ৫২টি ডিমের মধ্যে ১৪টি জুলিয়েটের বাসায় রাখা হয়েছে। আর বাকি ২৬টি ডিম পুরনো ইনকিউবেটরে (বাচ্চা ফুটানোর কৃত্রিম পদ্ধতি) এবং ১২টি নতুন ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করমজলের বন্য প্রজনন কেন্দ্রে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯৫টি কুমির রয়েছে। এর মধ্যে জুলিয়েট ও পিলপিল নামে দুটি মা কুমির এবং রোমিও নামে একটি পুরুষ কুমির দিয়ে করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্রে বাচ্চা ফুটানোর কার্যক্রম চালু করা হয়।’
বিলুপ্তপ্রায় নোনা পানির কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি এবং তা সংরক্ষণের জন্য ২০০২ সালে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল পর্যটনকেন্দ্রে বন বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় দেশের একমাত্র সরকারি এ কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি। বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় কেন্দ্রটি। শুরুতেই জেলেদের জালে ধরা পড়া কুমির দিয়ে কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে কেন্দ্রটিতে বিভিন্ন বয়সের ১৯৫টি কুমির রয়েছে।