১১ ঘণ্টা পর পুলিশের সহযোগিতায় নিজ বাসায় উঠলেন গৃহবধূ


বাসায় ঢুকতে বাধা দেওয়ায় ফুটপাতে অবস্থান করেন হাসিনা
মাদারীপুরের টেকেরহাট থেকে বেলা ১২টায় খুলনায় আসেন গৃহবধূ হাসিনা। যান শেখপাড়ার নিজ বাসায়। কিন্তু করোনা আতঙ্কে অন্য ভাড়াটিয়ারা তাকে ঘরে উঠতে বাধা দেয়। তার স্বামী সাইদুলকেও বাসা থেকে বের করে দেয় তারা। দুজন রাত ১১টা পর্যন্ত রাস্তায় রাস্তায় ঘোরেন। শেষ পর্যন্ত ১১ ঘন্টা পর পুলিশের সহযোগিতায় নিজ বাসায় ওঠেন তারা।


সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবু হরষিত জানান, রাত ১১টার দিকে খবর পেয়ে তিনি শেখপাড়া এলাকায় গিয়ে ওই বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি তাদের সচেতন করে মানবিক আচরণ করার জন্য আহ্বান জানান। এরপর তারাই ওই নারীকে ঘরে তুলে দেন।
এসআই বলেন, ‘ওই নারীকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলা হয়েছে। আর শনিবার হাসপাতালে গিয়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য দিয়ে আসতে বলা হয়েছে।’
গৃহবধূ হাসিনা বলেন, ‘গ্রাম থেকে দুপুরে আসার পর বাসায় গেলে সবাই মিলে আমাকে বের করে দেয়। তারপর রাস্তায়ই বসে আছি। গ্রাম থেকে নিয়ে আসা খাবারগুলোও গরমের কারণে নষ্ট হচ্ছে।’
তার স্বামী সাইদুল ইসলাম জানান, তিনি রিকশা চালিয়ে সংসার চালান। দুপুরে তার স্ত্রীকে বের করে দেওয়া হলে তিনি তাকে নিয়ে হাসপাতালে যান। সেখান থেকে ঘুরে বিকালে আসার পর তাকেও বাসায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তাই বিকাল থেকেই ফুটপাতে আছেন তিনি।
মালিকের অনুপস্থিতিতে বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আনসার আলী বলেন, ‘করোনা আতঙ্কের কারণে ভাড়াটিয়ারা সবাই মিলে তাকে ঘরে উঠতে বাধা দেয়। বাড়ির মালিক খবর পেয়ে পরীক্ষা করার আগে তাকে ঘরে উঠতে দিতে নিষেধ করেন।’
বাড়ির মালিক হালিম মুন্সীর স্ত্রী বলেন, ‘করোনা ঝুঁকিপুর্ণ জেলা মাদারীপুর থেকে আসার কারণে তাকে ঘরে উঠতে নিষেধ করা হয়েছিল।’