করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু, লাশ পড়ে থাকলেও আসেনি কোনও আত্মীয়-স্বজন

Narayanjangনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে করোনার উপসর্গ নিয়ে আউলিয়া বেগম নামের এক নারী মারা যাওয়ার পর ভয়ে লাশ দাফনে কেউ এগিয়ে আসেনি। মারা যাওয়ার পর প্রায় ৬ ঘণ্টা লাশটি ঘরের ভেতরে পড়ে ছিল, ভয়ে কোনও আত্মীয়-স্বজন এগিয়ে আসেনি।  রাত ১২ টায় দিকে নিহতের বাড়িতে গিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা স্থানীয় সংসদ সদস্যের গঠিত স্বেচ্ছাসেবক টিম।

শুক্রবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের আলমপুরা গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী আউলিয়া বেগম  করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। কয়েকদিন ধরে জ্বর, ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি।

আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী করোনার ভয়ে লাশের পাশে যাননি। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা তার স্বেচ্ছাসেবক টিমকে রাতে দাফনের জন্য নিহতের বাড়িতে পাঠান। রাত ১২টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক টিম উপস্থিত হয়ে লাশ ঘর থেকে বের করে গোসল করিয়ে জানাজা দিয়ে দাফন করে।

স্বেচ্ছাসেবক টিমের লিডার মো. সানাউল্লাহ বেপারি বলেন, এমপি রাতেই নিহতের লাশ দাফনের জন্য ওই বাড়িতে পাঠান। রাত ১২টার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে লাশ ঘর থেকে বের করে নানাখি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। লাশটি দীর্ঘসময় পড়ে ছিল, দাফনের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।  এটা অমানবিক। পরে স্বেচ্ছাসেবক টিম গিয়ে রাতে দাফন কাফন করা হয়।