লকডাউন হচ্ছে কুমিল্লা নগরীর চারটি ওয়ার্ড, দেওয়া হবে খাদ্য সহায়তা

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভাকরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের চারটি ওয়ার্ডকে লকডাউন করা হবে। আগামী ২০ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় জানানো হয়, লকডাউনে থাকা ওই চারটি ওয়ার্ডের পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসন ১০ কেজি করে চাল দেবেন। এছাড়া তেল, ডাল, পেঁয়াজসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী দেবেন এমপি এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। ডিসি অফিস থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের কার্ড দেওয়া হবে। লকডাউন করা সময়ে সার্বক্ষণিক পাহারা দিতে স্ব-স্ব এলাকার কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। লকডাউনের আওতায় থাকা এলাকায় শুধু এটিএমে আর্থিক লেনদেন করা যাবে। কোনও ধরনের ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে না।

লঅকডাউন করা হবে-  ৩ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত রেসকোর্স,পুলিশ লাইনসহ অন্যান্য এলাকা। ১০ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত ধর্মসাগরের পশ্চিম পাড়, ঝাউতলাসহ অন্যান্য এলাকা। ১২ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর চর্থা, নানুয়ার দিঘিরপাড়সহ অন্যান্য এলাকা। ১৩ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ চর্থাসহ অন্যান্য এলাকা।

সভা শেষে কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরীর ৩, ১০, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আগামী ২০ জুন রাত থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে। এ সময় জরুরি সেবার অংশ হিসেবে হসপিটাল ছাড়া বাকি সব বন্ধ থাকবে। এমনকি কোনও ডাক্তার চেম্বার করতে পারবে না। ঔষধ ও মুদি দোকান খোলা থাকবে।’

জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জানান, ‘নগরীর অন্যান্য এলাকায়ও শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। পুলিশ সুপার মো. সৈয়দ নুরুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করবেন। এছাড়াও পুলিশ সুপার কার্যালয় স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ও করবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনীর সঙ্গে র‌্যাবের যৌথ সমন্বয় থাকবে।’

সভায় জানানো হয়েছে কারও কোনও উপসর্গ না থাকলে করোনার পরীক্ষা না করানোর জন্য। লকডাউনের সময় কুমিল্লা ইপিজেড সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এ সময় কোনও চাকরিজীবীকে জোর করে কাজে না আনার জন্য মালিক কিংবা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হবে।

সভায় করোনা আক্রান্ত ও রোগীর বিষয়ে ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ডা. মজিবুর রহমান ও জেলার করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান, ৩১ বীরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী মীর শাখাওয়াত হোসেন, সিটি কপোরেশনের কাউন্সিলরসহ অন্যান্য নেতারা।