ফেনীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসফেনীতে জ্বর-শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, একজন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। বুধবার (২৪ জুন)  রাতে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, মঙ্গলবার বিকাল ও রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুল ইসলাম (৮৪) ও বিরেন্দ্র বরুণ (৬৫) নামে দুই ব্যক্তি জ্বর-শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। করোনা উপসর্গ নিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে ভর্তি হন বিরেন্দ্র বরুণ। তার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। অপর ব্যক্তি নুরুল ইসলাম একইদিন রাত ১০টার জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ফেনী পৌরসভার একাডেমি এলাকার বাসিন্দা। তবে মৃত্যুর পর দুই রোগীর স্বজনদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কবর দেওয়া ও সৎকারের জন্য বলা হয়েছে।

এদিকে দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কামারপুকুরিয়া গ্রামের আহছান উল্লাহ (৫০) জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার দিনগত মধ্যরাতে মারা যান। পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ রায়হান এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘ওই মৃত ব্যক্তি গত কয়েক দিন জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে পথিমধ্যে মারা যান।

অপরদিকে, একই রাতে ফেনী শহরের একাটি বেসরকারি হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বড়ধলী এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘নিহত ব্যক্তি বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর ও কাশিসহ শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন।  বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাশ বলেন, ‘করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া নজরুল ইসলাম করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’