উত্তরা ইপিজেডে ভাঙচুর ও ৯০ লাখ টাকা লুটের অভিযোগে মামলা

106178005_305354850649263_180134921854836906_n

উত্তরা ইপিজেডের এভারগ্রিন প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরি বিডি লিমিটেডে বিক্ষোভ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। সদর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

২৮ জুন সকালের এই ঘটনায় ২৯ জুন দুপুরে নীলফামারী সদর থানায় মালিক পক্ষ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। জানা যায়, ওই মামলায় পাঁচজন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়।

কারখানার প্রধান নির্বাহী ও চেয়ারম্যান ফিলিক্স ওয়াই সি চ্যাঙ এই ঘটনাকে শ্রমিক অসন্তোষের আড়ালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় কারখানার ১৫ কোটি টাকার ক্ষতির হয়েছে।

তিনি বলেন, 'সেদিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কারখানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সিসি ক্যামেরা ও কম্পিউটার ধ্বংস করে। যারা এ কাজটি করেছে, তারা কেউ আমার কারখানার শ্রমিক না। কারণ তারা ওই ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সময় হামলা করেছে শুধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর। হামলার শিকার কর্মকর্তা কর্মচারীরা সব শ্রমিকদের চেনেন ও জানেন। একাজে যারা জড়িত ছিল, তারা সবাই অপরিচিত।'

চ্যাঙ বলেন,'আমি আন্দোলনরত শ্রমিকদের কাছে গিয়ে ২০-২৫ মিনিট কথা বলেছি। আমার কথায় তারা শান্ত ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আমার ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে শ্রমিকরা আমাকে রক্ষা করে। এসময় আমি বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হই।'

তিনি জানান, লুট হয়েছে নগদ ৯০ লাখ টাকা। আগুনে পুড়ে গেছে দুটি কাভার্ডভ্যান, ১০টি মোটরসাইকেল ও ৫০টি বাইসাইকেলসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি। এছাড়াও ৫টি ফর্ক লিস্টার, ৪৫০ সিসি ক্যামেরা, ৩২০ টি কম্পিউটার ৩২০ টি হার্ডডিক্সসহ অসংখ্য আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উৎপাদিত পণ্যসহ কাঁচামাল। এতে ক্ষতির পরিমাণ ১৫ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে।

এভারগ্রিনের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক কল হ্ল্যা হ্যান মঙ, উপ মহা-ব্যবস্থাপক কাজী ফেরদৌস উল আলম ও হারুন উর রশিদ বলেন, 'করোনা পরিস্থিতিতে কারখানার উৎপাদিত পণ্যের রফতানি বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটের পরও শ্রমিকদের বেতন, ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা দিয়ে যাচ্ছি। ঈদ উপলক্ষে শ্রমিকদের বোনাস বাবদ (উৎসব ভাতা) লকারে রক্ষিত ৯০ লাখ টাকা দুর্বত্তরা লুট করে নিয়ে যায়।'

এ বিষয়ে নীলফামারী সদর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম বলেন, 'ইপিজেডের ওই ঘটনায় এভারগ্রিন কারখানা কর্তৃপক্ষ পাঁচ জন নামীয়সহ আজ্ঞাত ৩৫০ জনের নামে মামলা করেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।'