রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে: কেসিসি মেয়র

 

খুলনায় নগর ভবনে পাটকল সিবিএ ননসিবিএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকার আবদুল খালেক।

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী খুলনার সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হবে। সরকার দেশের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পঞ্চাশ শতাংশ নগদ এবং বাকি অর্ধেক মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।

মেয়র শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে নগর ভবন সম্মেলন কক্ষে খুলনার সাতটি পাটকলের সিবিএ ও ননসিবিএ শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শ্রমিকবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকার এবং প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর মাধ্যমে মিলগুলো চালু থাকবে। পিপিপি’র আওতায় আধুনিকায়ন করে এই পাটকলগুলোকে উৎপাদনমুখী করা হবে। সুস্থ শ্রমিকদের দিয়েই মিলগুলো চালানো হবে। শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ চাকরিবিধি অনুযায়ী পরিশোধ করা হবে। পাশাপাশি নির্ধারিত হারে গোল্ডেল হ্যান্ডশেকের সুবিধাও পাবেন।

মতবিনিময় সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম বাশার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দফতর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলামসহ খুলনার সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের সিবিএ ও ননসিবিএ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সকালে সিটি মেয়র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘মানবিক সহায়তা কর্মসূচি’র আওতায় নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় চত্বরে ২০০ জন দর্জি শ্রমিকের মাঝে আট কেজি করে চালসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ কুমার ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।