ডিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

নারায়ণগঞ্জসিদ্ধিরগঞ্জে ডিশ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরে আদমজীর কদমতলী সরকারি এমডব্লিউইউ কলেজের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কদমতলী এলাকার জাহাঙ্গীর খান, শাহাবুদ্দিন প্রধান, নুরুল ইসলাম প্রধান, মমতাজ ও আলামিন ডিশ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ডিস ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে সোমবার রাতে একই এলাকার আমির হোসেন কুট্টি ও রাসেলের নেতৃত্বে লোকজন ডিশ লাইনের তার কেটে নিয়ে যায়। তার কাটার ঘটনায় ডিশ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর খান বাদী হয়ে মঙ্গলবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে দুপুর ১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মো. মজিবুর রহমান অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে আদমজী কদমতলী সরকারি এমডব্লিউইউ কলেজের সামনে আসেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে আমির হোসেন কুট্টি ও রাসেলের নেতৃত্বে লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। পুলিশের উপস্থিতিতেই উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে নুরুল ইসলাম প্রধান, জাহাঙ্গীর খান, রনি, সুমন, হাসান ও ইসলামসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা বলেন, জাহাঙ্গীর খানের লোকজন বৈধভাবে ডিশের ব্যবসা করে আসছেন। তারা আ.লীগের লোকজন। এতে আমির হোসেন কুট্টি অবৈধভাবে ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিতে পুলিশের উপস্থিতিতে জাহাঙ্গীর খানের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। হামলাকারীরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের লোকজন।

এ বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক জানান, ডিশ ব্যবসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে।