বগুড়ায় করোনা উপসর্গে নারীসহ চারজনের মৃত্যু

বগুড়া

বগুড়ায় শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিট এবং টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে এক নারীসহ চারজন মারা গেছেন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা মৃতদেহগুলো প্রস্তুত ও জানাজা শেষে দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল এবং টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া শাখার সংগঠক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ঘোষগাঁতি গ্রামের সমর সরকার (৫০) ওষুধের ব্যবসা করতেন। করোনা উপসর্গে আক্রান্ত হলে শুক্রবার বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান। একই জেলার কাজিপুর উপজেলার চকগিরিশ গ্রামের আলহাজ¦ মোসলিম মন্ডল (৭৫) করোনা উপসর্গে আক্রান্ত হন। শুক্রবার দুপুরে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।

বগুড়ার কাহালুর আড়োলা গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী রওশন আরা (৩৫) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। গত ৯ জুলাই তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান।

এছাড়া বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি আশোকোলা গ্রামের ব্যবসায়ী আল হাসান বিদ্যুৎ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শনিবার বেলা দেড়টার দিকে বগুড়া টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

প্রকৌশলী মিজানুর রহমান আরও জানান, মৃত চারজনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শনিবার বিকাল পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল চত্বরে চারজনের মরদেহ প্রস্তুত ও জানাজা শেষে দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।