শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সচিব একে আলি আজিমের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এ বিষয়ে করোনা ওয়ার্ডের দায়িত্বরত মাস্টার আবুল কালাম জানান, বর্তমান সময়ে চিকিৎসক, সেবিকা থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ঘোরাফেরা কমে গেছে। রোগী ছাড়া তেমন কোনও লোকজন থাকে না। এ সুযোগে চোর ৫০টি বাথরুমের কমপক্ষে ৬ লাখ টাকা মূল্যের স্যানিটারি মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানির সমস্যা হলে তখনই বিষয়টি ধরা পড়ে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, চুরির বিষয়ে সচিবের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসকের দফতরে আলোচনা হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে তাদের সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। যাদের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত, প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গণপূর্ত অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, করোনা দেখা দিলে ভবনের নিচতলা থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত রোগীদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এ কারণে ওই ভবনের ১৩৯টি চাবি ওয়ার্ড মাস্টার ফেরদৌস ও আবুল কালামকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ভবনটি এখনও হস্তান্তর হয়নি। করোনার জন্য হাসপাতালের পরিচালককে মৌখিকভাবে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।