চমেকে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৬

চমেক

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (১২ জুলাই) দুপুরে চমেক হাসপাতাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিবদমান দুটি পক্ষের একটি শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। অন্যপক্ষ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়ের আ জ ম নাছিরের অনুসারী বলে জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আহতরা হলেন-খোরশেদ বিন মেহেদী, ইমন সিকদার, অভিজিৎ দাশ, ফাহাদুল ইসলাম, হোজাইফা বিন কবির, কনক দেবনাথ, সাজেদুল ইসলাম হৃদয়, সানি হাসনাত প্রান্তিক, ডা. ফয়সাল আহমেদ, ডা. মাসুম বিল্লাহ মাহিন, মাহতাব বিন হাসিম ও ডা. নুর মোহাম্মদ তানজিম।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল হক ভুঁইয়া, পাঁচলাইশ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবু তালেব ও এসআই আলমগীর।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার সকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল পরিচালকের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে আসেন। তিনি হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে চলে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়। এক পক্ষ নওফেল, অন্যপক্ষ নামে মেয়র আ জ ম নাছিরের নামে স্লোগান দেন। পাল্টাপাল্টি স্লোগানের এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন৷ প্রথম দফায় মারামারির পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়ার সময়ও দুই পক্ষ আবারও হাতাহাতিতে জড়ায়।

কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাদি হাশিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী হাসপাতালে আসেন। এসময় তাকে আমাদের পক্ষ হতে তাকে রিসিভ করে পরিচালকের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। করোনাভাইরাসের কারণে এসময় মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগতদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে মুহিবুল হাসান নওফেল হাসপাতাল থেকে চলে যাওয়ার পরপরই মেডিক্যালে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই বহিরাগতদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।

অপর পক্ষের ছাত্রলীগ নেতা সাজেদুল ইসলাম হৃদয় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় আহত হয়ে যখন আমরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে যাই সেখানে চিকিৎসা নিতেও বাধা দেওয়া হয়।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। মারামারি থামাতে গিয়ে আমাদের চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাসপাতাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।