সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মৃত্যু

সুন্দরবনে মারা যাওয়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার



সুন্দরবনের আন্ধারমানিক ক্যাম্প এলাকায় মারা গেছে একটি মাদি বাঘ (রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার)। গত শুক্রবার বিপন্নপ্রায় প্রাণীটির মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে বনবিভাগের লোকজন শনিবার সেখানে যায় এবং বাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। ময়নাতদন্তে জানা গেছে, বাঘটির বাম পায়ের গোড়ালিতে ক্ষত থাকায় শিকার করতে না পেরে ক্ষুধায় প্রাণীটির মৃত্যু হয়েছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন মঙ্গলবার সকালে  বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পশ্চিম বিভাগের খুলনা রেঞ্জের আওতাধীন ও সুন্দরবনের উপকূল থেকে এক কিলোমিটার গভীরে আন্দারমানিক ক্যাম্পটির অবস্থান।

তিনি জানান, গত পুরো সপ্তাহ ধরেই আন্ধারমানিক ক্যাম্প কর্মীরা বাঘটিকে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে। এ অবস্থায় বনকর্মীরা সেখানে সতর্ক অবস্থানে ছিল। বাঘটির ওপর নজরদারি করাসহ নিজেরাও নিরাপদ থাকতে তৎপর ছিল। শুক্রবার বাঘটির মৃত্যুর পর খুলনা থেকে ভেটেরনারি সার্জনসহ একটি টিম নিয়ে তিনি শনিবার সেখানে যান এবং মৃত বাঘটিকে পর্যবেক্ষণ ও ময়নাতদন্ত করেন। এসময় বাঘের বাম পায়ের গোড়ালিতে একটি ক্ষতচিহ্ন পান তারা। চিকিৎসকরা বলেছেন, এ ক্ষতের কারণে বাঘটি শিকার করতে পারছিল না।

একইসঙ্গে ফরেনসিক প্রতিবেদনের জন্য মৃত বাঘের নমুনা সংগ্রহ ও চামড়া ছাড়ানো হয়। এরপর বাঘটির দেহকে ওই ক্যাম্পের পাশেই মাটিচাপা দেওয়া হয়। 

ভেটেরনারি সার্জন জানিয়েছেন, মূলত পায়ের ক্ষতের কারণে শিকার করতে না পেরে খেতে না পেয়ে দুর্বল হয়ে গিয়েছিল বাঘটি। একারণেই ধীরে ধীরে মারা যায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বিভাগীয় কর্মকর্তা বশিরুল আল মামুন আরও বলেন, ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়ার পর বাঘটির মৃত্যুর আসল কারণ জানা সম্ভব হবে। তিনি জানান, মৃত বাঘটির বয়স ছিল ১৪ বছর। এটি ছিল পূর্ণ বয়স্ক মাদি বাঘ। এর দৈর্ঘ্য ছিল ৭ ফুট ও উচ্চতা ৩ ফুট।