গোপালগঞ্জে করোনায় ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতিসহ দুইজনের মৃত্যু

সিভিল সার্জনের কার্যালয়, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজপাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সেলিম রেজাসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হলো।

বুধবার (১৫ জুলাই) রাতে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সেলিম রেজার (৪৫) ও একই উপজেলার পোনা গ্রামে নিজ বাড়িতে ওষুধ ব্যবসায়ী মাহফুজ মোল্যার (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ ও কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির আহমেদ তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সিভিল সার্জন জানান, কয়েক দিন আগে রাজপাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সেলিম রেজার করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দেয়। পরে তিনি ১১ জুলাই কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেন ও ১২ জুলাই তার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে।

পরে তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৩ জুলাই খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৫ জুলাই) রাতে সেলিম রেজার মৃত্যু হয়।

অপরদিকে, একই উপজেলার পোনা গ্রামের ঔষধ ব্যবসায়ী মো. মাহফুজ মোল্যার করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তিনি মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেন। বুধবার (১৫ জুলাই) তার রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মৃত ২৩ জনের এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮ জন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৪ জন, কাশিয়ানী উপজেলায় ৫জন, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১ জন ও মুকসুদপুর উপজেলায় ৫ জন রয়েছেন। এছাড়া একজন করোনা রোগী মুকসুদপুরে আত্মহত্যা করেছেন।

অন্যদিকে, গোপালগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ১৩৫ জনে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকালে গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৯ জন, মুকসুদুপুর উপজেলায় ৭ জন, কাশিয়ানী উপজেলায় ৬জন, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৬ জন, ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৪ জন রয়েছে। আক্রান্তদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়ার পশাপাশি পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জেলা থেকে মোট ৬ হাজার ৪৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ১৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৭২২ জন সুস্থ হয়েছেন। এখনও জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৯১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে ডাক্তার, নার্সসহ ৮৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ১৩৫ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৫৬ জন, মুকসুদপুর উপজেলায় ২১৭ জন, কাশিয়ানী উপজেলায় ২০৭ জন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১৮৩ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৭২ রয়েছেন।