প্যাথলজি রিপোর্ট দেন মৃত চিকিৎসক!

 ডায়গনস্টিক সেন্টারটির মালিক ও সেখানে কর্মরত এক চিকিৎসকসহ তিনজনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত
বরিশালের দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিস নামে একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারের প্যাথলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার গাজী আহসান উল্লাহ মারা গেছেন গত ১৯ জুলাই। এর আগে অসুস্থ হয়ে ঢাকায় ছিলেন। কিন্তু, ওই প্যাথলজিতে তার নামে রিপোর্ট ইস্যু হচ্ছে অহরহ। মারা যাওয়ার পরেও। আজও। রোগীদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পেয়ে বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল জেলা প্রশাসন, র‌্যাব-৮ ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নগরীর জর্ডন রোড ‍এলাকার ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এর সত্যতা পেয়েছে।

অভিযানে দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিস নামে একটি ডায়গনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ডায়গনস্টিক সেন্টারটির মালিক ও সেখানে কর্মরত এক চিকিৎসকসহ তিনজনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে‍ন চিকিৎসক নুরে আলম সরোয়ার সৈকত, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক একে চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন মিলন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান জানান, সাজাপ্রাপ্ত চিকিৎসক সৈকত বিসিএস ক্যাডার না হয়েও নানা ডিগ্রি তার নামের সঙ্গে ব্যবহার করে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। এখানকার নিয়মিত ডাক্তার গাজী আহসান উল্লাহ গত ১৯ জুলাই মারা গেলেও এরা পারস্পারিক যোগসাজশে মৃত চিকিৎসকের স্বাক্ষর ব্যবহার করে কয়েকদিন ধরে রোগীদের প্যাথলজিক্যাল বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট বানিয়ে অর্থ উপার্জন করছিলেন।

তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, ডাক্তার গাজী আহসানউল্লাহ মৃত্যুর আগে ঢাকায় থাকাকালীন সময়ও এরা এমন জাল জালিয়াতি করেছে। এমন খবর পেয়ে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে ভ্রামমাণ আদালত প্রমাণ সাপেক্ষে দোষীদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। একই সময়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

তবে দণ্ডপ্রাপ্ত চিকিৎসক নুরে আলম সরোয়ার সৈকত নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তিনি বিসিএস ক্যাডার না হলেও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০১৯ সালে এমবিবিএস পাস করেন।