আশুলিয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, পুলিশ সদস্যসহ আটক ৪

 আশুলিয়ায় ডাকাতি করতে গিয়ে র‌্যাবের হাতে আটক পুলিশ সদস্যসহ চার ডাকাত।
আশুলিয়ায় বিভিন্ন এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে থানা পুলিশের এক কনস্টেবলসহ ৪ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। এসময় ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, ওয়াকিটকি, একটি মাইক্রোবাস ও হ্যান্ডকাফ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জাল টাকা ও মাদক।

সোমবার (২৭ জুলাই) দুপুরে র‌্যাব-৪ এর (সিপিসি-২) এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার জমির উদ্দিন আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

র‌্যাব জানায়, গত ২২ জুলাই রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার নিগার প্লাজার ফার্মেসি ব্যবসায়ী নূর উদ্দীনের দোকানে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একদল দুর্বৃত্ত আসেন। এসময় ওই ব্যবসায়ীকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৬৩ হাজার টাকা চাঁদা নেয় ডিবি পুলিশ পরিচয় দানকারীরা। পরে ২৬ জুলাই আরও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে ভয় দেখিয়ে চলে যায় তারা।

র‌্যাব আরও জানায়, পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৬ জুলাই রাতে জামগড়া এলাকায় আবারও ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারীরা দাবিকৃত বাকি চাঁদার টাকা জন্য এলে খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি ও চাঁদা আদায়কালে আশুলিয়া থানা পুলিশের মমিনুর রহমান নামে এক কনস্টেবলসহ চার জনকে আটক করা হয়। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি নোয়া মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ-১৩-৩৬৪১), চারটি রাম দা, একটি হ্যান্ডকাফ ও একটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয় ৩৭ হাজার টাকার জালনোট, ১৯০ পিস ইয়াবা বড়ি, ৪৮০ গ্রাম গাঁজা, ১৬টি এটিএম কার্ড, নগদ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা ও ১২টি মোবাইল ফোন।

র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ নবীনগর শাখার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার জমির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় ভুক্তভোগী নূর ইসলাম বাদী হয়ে দুটি মামলা (নং-৯৭ ও ৯৮) দায়ের করেছেন। এছাড়া মাদক ও জালটাকা রাখার অপরাধে র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ শাখার এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আরও দুটি মামলা (নং-৯৯ ও ১০০) দায়ের করেছেন।

তিনি আরও বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় আশুলিয়া থানার এসআই সাজ্জাদুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। তার ব্যক্তিগত পুলিশ স্টিকার সাঁটানো সাদা নোয়া মাইক্রোবাসটি এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ জানান, ডাকাতি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে কোনও পুলিশ সদস্য জড়িত থাকার বিষয়টি তার জানা নেই।