যাত্রীবাহী ৫ লঞ্চকে জরিমানা




বরিশাল লঞ্চ জরিমানাবরিশাল-ভোলা রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী পাঁচটি লঞ্চ থেকে ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মাস্ক না থাকায় ১৭ যাত্রীকেও জরিমানা করা হয়। সোমবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে এমভি গ্রিন ওয়াটারকে ১৭ হাজার, এমভি উপকূল-২-কে ১০ হাজার, সুপার সনিক-৬-কে ২০ হাজার, এমএল আফসারকে ২০ হাজার এবং এমভি রাতুলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নৌপরিবহন অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে সহায়তা করে নৌবন্দর থানা ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এবং কোস্টগার্ড।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল হাসান জানান, নৌপথে চলাচলকারী লঞ্চের ফিটনেস ও চালকের সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও যন্ত্রাংশ না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ওই পাঁচটি লঞ্চ থেকে ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া মাস্ক ব্যবহার না করায় লঞ্চের ১৭ যাত্রীকে জরিমানা করা হয়।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দর না এসে বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এতে করে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। এসময় যাত্রীদের সঙ্গে লঞ্চ স্টাফরা খারাপ আচরণ করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।