শ্যালিকাকে পেতে ভায়রাকে খুন

গ্রেফতার আলমগীরলালমনিরহাটে মাইক্রোবাস চালক বেলাল হোসেন (২৯) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্যালিকা লাবনীকে পেতে আলমগীর তার ভায়রাকে খুন করেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে নিজ সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এসব তথ্য জানান।

গ্রেফতার আলমগীর হোসেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোস্তফিরহাট এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার চালক বেলাল হোসেনের স্ত্রী লাবনী বেগমের দুলাভাই। তিনি নিজেও একজন ট্রাকচালক।

বেলাল হোসেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের হাড়িভাঙা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ও আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আলমগীর হোসেনের সঙ্গে শ্যালিকা লাবনী বেগমের দীর্ঘদিনের ধরে অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছিল। গত ২৪ জুন হঠাৎ করে পারিবারিকভাবে লাবনীর সঙ্গে বেলালের বিয়ে হয়। এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি লাবনী ও তার দুলাভাই আলমগীর।

হত্যাকাণ্ডের শিকার বেলাল হোসেনপুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, ২৫ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলমগীর হোসেন ছোট ভায়রা বেলাল হোসেনকে কোল্ড ড্রিংসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়। এরপর মোটরসাইকেলযোগে তাকে নিয়ে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের যুগিটারী এলাকায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর জাতীয় মহাসড়কের পাশের একটি পাটক্ষেতে লাশ ফেলে যায়। এর দুই দিন পর ২৭ জুলাই স্থানীয়দের খবরে বেলালের অর্ধগলিত লাশ অজ্ঞাত পরিচয়ে উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ। পরে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।

আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, পরে পুলিশ বেলালের স্ত্রী লাবনী বেগমকে (২১) আটক করে। তার দেওয়া তথ্যমতো গত সোমবার (৩ আগস্ট) সদর উপজেলার বড়বাড়ি থেকে আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আলমগীর হোসেনের দেওয়া তথ্যমতে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘাতক আলমগীর হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার আতিকুজ্জামান আতিক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান আনিস উপস্থিত ছিলেন।