হত্যা মামলার বাদীকে অপহরণ: কামারখন্দের ছাত্রলীগ সভাপতি-সা. সম্পাদক গ্রেফতার




বাম দিক থেকে-কামারখন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাভেল পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেনসিরাজগঞ্জের জেলা ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় হত্যা মামলার বাদীকে অপহরণের দায়ে কামারখন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পাভেল পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ছেলে রুবেল আহম্মেদকে অপহরণের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকালে কামারখন্দ থানায় মামলা করেন বিজয়ের বাবা আব্দুল কাদের। মামলায় গ্রেফতার কামারখন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাত আরও কয়েকজনসহ মামলায় মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, রবিবার কামারখন্দ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসযোগে দুর্বৃত্তরা এসে রুবেলকে অপহরণ করেন। বগুড়ার শাহজাহানপুর এলাকায় বিকালে ফেলে দিয়ে গেলে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় কামারখন্দ থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে আসার সময় বিজয়ের বাবার পিছু নেয় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত ওই দু’ছাত্রলীগ নেতা ও তাদের সমর্থকরা। এ অবস্থায় মামলা রেকর্ড হওয়ার আগে পারভেজ ও মামুনের লোকজনের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে থানায় রাখে।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের বড় ভাই রুবেলকে অপহরণের দায়ে তাদের বাবা জ্ঞাত-অজ্ঞাত মিলে ১২ জনের নামে মামলা করেছেন। সেই মামলায় পাভেল ও মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত প্রয়াত মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে যোগদানের পথে জেলা শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় হামলার শিকার হন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কামারখন্দ সরকারি হাজী কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি এনামুল হক বিজয়। হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। দলীয় কোন্দলের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে। পরে হাসপাতালে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যুবরণ করেন বিজয়। তার মৃত্যুর পর বড় ভাই রুবেল বাদী হয়ে ১০/১২ জনের নামে সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ এরই মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাময়িক বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিনসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনায় মূল সন্দেভাজন খুনি জেলা ছাত্রলীগের সাময়িক বহিষ্কৃত অপর সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব আহম্মেদ জেহাদ এখনও ফেরার। মামলাটি বর্তমানে ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে।