প্রকৌশলীকে পেটানোর অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ফজলুর রহমানঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এলজিইডির এক প্রকৌশলীকে পিটিয়ে আহত করা এবং ওই ঘটনায় মামলার আসামি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মামলার পর পুলিশ তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে জেলহাজতেও পাঠিয়েছে। বুধবার (৫ জুলাই) হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ১৯ জুলাই স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী এ সংক্রান্ত আদেশে সাক্ষর করেন। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন পেয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আরিফ-উজ-জামান সোমবার (৪ আগস্ট) বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।

মামলার নথি ও মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা রওশন হাবিব নামে এক সহকারী উপজেলা প্রকৌশলীকে মারধর করেন ফলসি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। এ ঘটনায় গত ১৮ মে হরিণাকুণ্ডু থানায় মামলা করেন ওই প্রকৌশলী। তিনি অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান একটি ঠিকাদারি কাজের বিল নিয়ে প্রকৌশলী রওশন হাবিবের সঙ্গে বাদানুবাদে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে তাকে অফিসের মধ্যে ফেলে মারপিট করেন। সে সময় ফজলুর রহমান মারপিটের কথা অস্বীকার করেন। মামলা রেকর্ড হওয়ার পর ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গ্রেফতার হন তিনি।

প্রকৌশলী রওশন হাবিব জানান, হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে। এ জন্য ২ কোটি ২৩ লাখ টাকার বিল এসেছে। ঈদুল ফিতর সামনে করে সব ঠিকাদারকেই কমবেশি বিল পরিশোধ করা হচ্ছিল। ফান্ডের ১৬ লাখ টাকা চেয়ারম্যান একাই নিতে চান। অন্যসব ঠিকাদরকে বঞ্চিত করে একজনকে সব টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর করেন চেয়ারম্যান। পাঁচ মাস আগে মামুন নামে আরেক প্রকৌশলীকে এই চেয়ারম্যান মারপিট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বিধি মোতাবেক একজন প্যানেল চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।