সিলেটে বোমাসদৃশ বস্তুটি ছিল ‘গ্রাইন্ডিং মেশিন’

সিলেটে পুলিশের মোটরসাইকেলের পেছনে বোমাসদৃশ বস্তু

সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে দুই দিনের আলোচিত অভিযান শেষ হয়েছে। অভিযান শেষে জানা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তার মোটরসাইকেলে বোমাসদৃশ যে বস্তুটি রাখা হয়েছিল সেটি মূলত একটি গ্রাইন্ডিং মেশিন। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকালে সেনাবাহিনীর বোমা ও বিস্ফোরক দল বোমাসদৃশ বস্তুটি খোলার পরে এ তথ্য জানায়।

অভিযান শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মোটরসাইকেলে থাকা বস্তুটি কোনও বোমা ছিল না, ছিল গ্রাইন্ডিং মেশিন অর্থাৎ টাইলস বা রড কাটার যন্ত্র।

সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ লে. কর্নেল রাহাত বলেন, ‘একজন পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলে একটি অবজেক্ট, একটা সাসপেক্ট (সন্দেহজনক বস্তু) পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে নির্দেশনা পেয়ে সিলেটে থাকা ১৭ পদাতিক ডিভিশনের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ও বোমা ধ্বংসকরণ টিম আমরা এখানে আসি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এসে আমাদের পদ্ধতি অবলম্বন করেছি, পরিদর্শন করেছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এটা একটা গ্রাইন্ডিং মেশিন। সন্দেহজনক বস্তু না থাকে, এটা নিশ্চিত করতে আমাদের নির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করেছি এবং আরও নিশ্চিত হতে আমরা এটাকে খুলেছি।’
উল্লেখ্য, সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে বুধবার মহানগর ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট চয়ন নাইডু তার পালসার মোটরসাইকেলটি এক পাশে রেখে একটি চশমার দোকানে ঢোকেন। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখতে পান তার মোটরসাইকেলের পেছনে কে বা কারা বোমাসদৃশ একটি বস্তু রেখে গেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ায়। ওই পথে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর বোমাসদৃশ বস্তুটি সম্পর্কে জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞ দলকে ডেকে পাঠায়।