প্রেমিককে আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ৪

গ্রেফতার ৪দিনাজপুরে প্রেমিককে আটকে রেখে এক তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  সোমবার (১০ আগস্ট) বিকালে নবাবগঞ্জ উপজেলার শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান ও আশুরার বিলে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই ঘটনায় জড়িত জনকে গ্রেফতার করেছে। নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো– নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের শগুনখোলা গ্রামের শরিয়ত হোসেনের ছেলে শাহিনুর ইসলাম (৩০), মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল আজিজ ওরফে আজিম (৩১), ফতেহপুর মাড়াস গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সাজেদুর ইসলাম (২০), আবু তাহেরের ছেলে শাহারুল ইসলাম (২১)। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে শগুন খোলা গ্রামের খলিলের ছেলে রেজওয়ান (২০)।

ওসি জানান, সাত মাস আগে একটি অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী বিরামপুর উপজেলার ওই তরুণীর সাথে নবাবগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের রিয়াজুল করিমের পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোমবার বিকালে ওই তরুণী রিয়াজুলের সঙ্গে নবাবগঞ্জের আশুড়ার বিলে দেখা করতে আসে। এ সময় শাহিনুরের নেতৃত্বে পাঁচ বখাটে রিয়াজুল এবং তার প্রেমিকাকে আটক করে মারধর করে সঙ্গে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। তাদের কাছে মাত্র ৫২০ টাকা পেয়ে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াজুলকে অন্যের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরও টাকা পাঠাতে বলে। রিয়াজুল বিকাশ করার কথা বলে নবাবগঞ্জের এক ছাত্রলীগের নেতাকে ঘটনাটি খুলে বলে। ছাত্রলীগ নেতাকে ফোন করাতে শাহিনুর চরম ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় আজিম, সাজেদুর, শাহারুল ও রেজওয়ান বিল সংলগ্ন শালবনের গভীরে নিয়ে রিয়াজুলকে আটকে রাখে। শাহিনুর ওই তরুণীকে বনের মধ্যে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে নবাবগঞ্জ-বিরামপুর সড়কে রেখে আসে। এ সময় সুযোগ বুঝে রিয়াজুল দৌড়ে এসে আশুড়া বিল পরিচালনা কমিটিকে ঘটনাটি খুলে বলে। কমিটির লোকজন বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় রেজওয়ান পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রিয়াজুল বাদী হয়ে পাঁচ বখাটের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

ওসি আরও জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার বখাটেরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। পলাতক রেজওয়ানকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার সকালে তরুণীটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার চারজনকে দিনাজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।