করোনায় ৩ জেলায় ২ নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু

 

ছবি: সাজ্জাদ হোসেনকরোনায় চুয়াডাঙ্গা ও মৌলভীবাজারে দুই নারী এবং শেরপুরে এক ব্যসবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও নিয়ম মেনে পরে তাদের দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বুধবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারীর মৃত্যু হয়। ওই নারী আলমডাঙ্গার থানা পাড়ার বাসিন্দা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যার অফিসার ডা. শামিম কবির জানান, ওই নারী গেল সোমবার সকালে জ্বর, ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি জটিলতায়ও ভুগছিলেন। করোনার উপসর্গ থাকায় সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের হলুদ জোনে তাকে ভর্তি করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। পরে দুপুরে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে, জেলায় নতুন করে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৯০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৪৪ জন ও মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ জন।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, রাজনগর উপজেলার এক নারীর (৫৫) করোনায় মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাতে সিলেটের একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন বুধবার সকালের দিকে তাকে নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুশুরিয়া গ্রামের ওই নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১১ আগস্ট দিবাগত রাতে তিনি মারা যান। পরে বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল ও রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশেমের অনুমতিতে ইকরামুল মুসলিমিন, মৌলভীবাজারের সদস্যরা তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন-কাফন করে।

এখন পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ১২০ জন। হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন তিন হাজার ১৫৩ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ১২জন। সুস্থ হয়েছেন ৬৯৫ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এ পর্যন্ত ২০ জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের।

শেরপুর প্রতিনিধি জানান, মাধবপুর মহল্লার এক বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী করোনায় আক্রাক্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মোবারক হোসেন জানান, ওই ব্যবসায়ীর করোনা উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষার পর গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) করোনা শনাক্ত হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করেন। ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার তার মুত্যু হয়।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন