আমিরাতে শিক্ষামন্ত্রীর স্বামীর বিপুল সম্পদ জব্দ নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ, থানায় জিডি

মিলি সুলতানা ও জাইমা রহমান নামে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দুই বাংলাদেশির ফেসবুক পেজে শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনির স্বামীকে নিয়ে স্ট্যাটাস।

আরব আমিরাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির স্বামী অ্যাডভোকেট তৌফিক নেওয়াজের ৫৪১ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের নামে ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগে চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ২৬ আগস্ট বুধবার জিডি করেন চাঁদপুরের পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির নামে মিলি সুলতানা এবং জাইমা রহমান নামের দু’টি ফেসবুক পেইজ থেকে মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। যা একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাকে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ করেছে। যা দণ্ডনীয় অপরাধও। ডা. দীপু মনির মতো সৎ এবং যোগ্য রাজনীতিকের নামে মিথ্যা অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। তাই ওই আইডি এবং পেইজের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক সামাজিক নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
অভিযোগে মিলি সুলতাানার আইডি লিংক এবং জাইমা রহমানের পেইজের লিংক দেওয়া হয়েছে যা বাংলা ট্রিবিউনের কাছে সংরক্ষিত আছে।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বসবাসরত মিলি সুলতানা এবং জাইমা রহমান নামের আইডি থেকে ফেসবুক পেজে লেখা হয় ‘দীপু মনির স্বামী অ্যাডভোকেট তৌফিক নেওয়াজের মোট ২৫৬.৭ মিলিয়ন আমিরাত মুদ্রার (প্রায় ৫৪১ কোটি টাকা) অবৈধ সম্পদ জব্দ করেছে আরব আমিরাত সরকার। এগুলোর মধ্যে রয়েছে দু’টি তিন তারকা হোটেল, তিনটি অত্যাধুনিক বাড়ি, একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানি, ছয়টি ফ্ল্যাট ও একটি রেস্টুরেন্ট। যেসব ফ্ল্যাট ও বাড়িতে ভাড়াটিয়া রয়েছে তাদের এক মাসের মধ্যে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।’
এ স্ট্যাটাস দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় ফেসবুকজুড়ে। পরবর্তীতে মিলি সুলতানা নামের ওই আইডি থেকে বাংলাদেশ সময় ২৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টার দিকে আবার স্ট্যাটাস দেওয়া হয় ‘শ্রদ্ধেয়া ডা. দীপু মনি সম্পর্কিত নিউজের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থাকায় পোস্ট নামিয়ে নিলাম।’

এ বিষয়ে পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার বলেন, মিলি সুলতানা নিউইয়র্কের কুইন্স ভিলেজে থাকেন। যদ্দূর জানতে পেরেছি, সে সেখানে একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করেন। তিনি অতীতেও বিভিন্ন ভিআইপি লোক সম্পর্কে বিতর্কিত কথা লিখেছেন। পরে বিতর্কের মুখে আবার ডিলিটও করেছেন। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম উদ্দিন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে হলে কিছু প্রক্রিয়া আছে। তিনি বলেন, আমরা আদালতের অনুমতি চাইবো। আদালতের অনুমতি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, দীপু মনির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ এনে এর আগেও অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার দু’টি জিডি করেন থানায়। পরবর্তীতে আইসিটি আইনে অপপ্রচারের দায়ে স্থানীয় তিনজন শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।