ব্যাংক চালু, প্রবাসীদের ঋণ বিতরণ বন্ধ!

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকদেশে ফেরত প্রবাসীদের বিদেশে যেতে বা দেশে স্বাবলম্বী হতে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা দিচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। কিন্তু ঝিনাইদহে এর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে ঋণ সুবিধা চালু থাকলেও, ব্যাংক কর্মকর্তারা প্রবাসীদের বলছেন ঋণ দেওয়া বন্ধ আছে। দিনের পর দিন ব্যাংকের শাখায় ঘুরতে হচ্ছে অসহায় প্রবাসীদের।

সরেজমিনে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখায় গিয়ে ঋণ আবেদন করতে আসা প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঋণ নিতে ব্যাংকের ওই শাখায় আসেন কালীগঞ্জ উপজেলার মোল্লাডাঙ্গা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী রাজু হুসাইন। তিনি বলেন, আমি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে এখন আবার যেতে চাচ্ছি। বিমানের টিকিট কেনার টাকা নেই। গত ২ মাস ধরে ব্যাংকে আসছি। ব্যাংকে এলে কর্মকর্তারা বলেন ঋণ দেওয়া বন্ধ আছে। ঋণ চালু হলে আপনাদের জানানো হবে। সোমবার আসার পরও একই কথা বললেন।

সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের দুবাই প্রবাসী পলাশ কুমার বিশ্বাস বলেন, করোনার কারণে দুবাই থেকে দেশে এসেছি। এখন যেতে পারছি না। ভেবেছিলাম প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাড়িতে খামার করবো। গত এক মাস ধরে ঘুরছি। ঋণ চালু নেই বলে দিনের পর দিন ঘোরানো হচ্ছে।

শৈলকুপা থেকে আসা অপর এক প্রবাসী বলেন, এর আগে যখন এসেছিলাম, তখন তারা বলেছিলেন এ মাস থেকে নাকি লোন দেওয়া চালু হবে। এখন পর্যন্ত আমরা লোন পাইনি। এমনকি আবেদন করতে কি কি কাগজ লাগবে তাও বলছেন না।

কালীগঞ্জ উপজেলার মান্দারবাড়িয়া গ্রাম থেকে আসা প্রবাসী ওহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের সব জেলায় ঋণ সুবিধা চালু রয়েছে। কিন্তু আমাদের শাখায় এলে বলা হচ্ছে ঋণ বিতরণ বন্ধ। সরকার প্রবাসীদের সহযোগিতা করতে চাচ্ছে, আর ব্যাংকের কর্মকর্তারা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন। কোনও অদৃশ্য কারণে তারা মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঝিনাইদহ শাখার ব্যবস্থাপক শেখ সিফাতি। তিনি বলেন, আমরা তো সরকারের টাকা কোলে রেখে দেবো না। আবেদন করলে আমরা তা ঢাকায় পাঠাবো।

প্রবাসীদের ব্যাংক থেকে বলা হচ্ছে ঋণ বন্ধ আছে, এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা ভুল বলছেন। ঋণ বিতরণ চালু আছে।’