জামালপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তসহ ৬ আসামির আদালতে আত্মসমর্পণ

কারাগার 
জামালপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চাচাসহ ৬ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) মামলার রায় ঘোষণার পর আজ রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তারা আত্মসমর্পণ করেন।

রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নিহত মোমিনের চাচা আনছার আলী প্রামাণিক, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর ৫ আসামি কলম প্রামাণিক, শাহীন, সাইদুল, শাইবানু, শাবজান আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মোকাম্মেল হক জানান, আসামিদের অনুপস্থিতিতে মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হওয়ায় তারা ন্যায়বিচার পায়নি, যেহেতু মামলার রায় হয়েছে তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচারের জন্য আপিল করা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দণ্ডপ্রাপ্ত সকল পলাতক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে, আশা করছি আদালতের রায় বহাল থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে জামালপুর সদর উপজেলার কুমারগাতী এলাকার রইচ উদ্দিনের বড় ছেলে মমিনের সঙ্গে তার চাচা আনছার আলী ঝগড়া বাঁধে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আনছার আলী তার ভাতিজা মমিনের মাথায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়। জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুইদিন পর মমিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরে নিহতের বাবা রইচ উদ্দিন তার ছোট ভাই আনছার আলীসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

গত ১৬ জুন ২০০৭ তারিখের ঘটনায় এ মামলায় গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পর মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নিহত মমিনের চাচা আনছার আলীকে পেনেল কোর্ট ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অপর পাঁচ আসামিকে প্যানেল কোর্ট ৩০২/৩৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ মো.জুলফিকার আলী খাঁন। মামলা শুরু হওয়ার সময় থেকে এতদিন মামলার সকল আসামি পলাতক ছিলেন।