২০ টাকার বিরোধে যুবলীগ নেতার চারটি আঙুল কাটলো ছাত্রলীগ সদস্যরা!

সাতক্ষীরা জেলাসাতক্ষীরায় মাত্র ২০ টাকার বিরোধে এক যুবলীগ নেতা হাতের চারটি আঙুল হারিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মুজাহিদুর রহমান অন্তু নামের ওই যুবলীগ নেতার হাতের আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগের নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

আহত যুবলীগ নেতা মুজাহিদুর রহমান অন্তু সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ-সম্পাদক ও ইটাগাছা এলাকার আবুল হাসানের ছেলে। গত ‍বুধবার তার আঙুল কেটে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে অন্তুর বাবা আবুল হাসান বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।

আবুল হাসান জানান, ‘গত ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাকাঁল এলাকায় অবস্থিত রোজ মার্কেটের এক চায়ের দোকানের বিল পরিশোধের জন্য আমার ছেলে মুজাহিদুর রহমান অন্তুর কাছ থেকে ২০ টাকা নেয় ইটাগাছা এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দীনের ছেলে ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ হোসেন, একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ-সম্পাদক জাহিদ হোসেন এবং পুরাতন সাতক্ষীরার বাবু তালুকদারের ছেলে সোহেল রানা। তাদের দাবি করা ২০ টাকা দেওয়ার পরেও ছাত্রলীগের নাহিদ হোসেন, জাহিদ হোসেন ও সোহেল রানার সঙ্গে আমার ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার দিন দুপুরে অন্তু শহরের উদ্দেশে রওনা দিলে ছাত্রলীগের নাহিদ, জাহিদ, রানাসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচ জন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্রহাতে তার পথরোধ করে তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করতে থাকে।’

‘একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তুর বাম হাতের চারটি আঙুল কেটে ফেলে। এসময় অন্তুর চিৎকারে তার স্ত্রী সানজিদা খাতুন ছুটে এলে তারা তাকেও মারপিট করতে থাকে। তবে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এলে ছাত্রলীগের নাহিদসহ তার কিশোর গ্যাঙের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় অন্তুকে দ্রুত উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেন। তবে হাত থেকে আঙুলের হাড় পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’

এসময় তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ বলেন, ‘আমার স্ত্রী’র অসুস্থতার কারণে আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। এ বিষয়টি শুনেছি। সাতক্ষীরা ফিরে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো।’

বর্তমানে জেলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কোনও কমিটি নেই। যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি থাকলেও আহ্বাবায়ক নিজেই বহিষ্কৃত। তবে স্থানীয় পর্যায়ের অন্য কমিটিগুলো আছে।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম নান্টু বলেন, ‘এদের বাড়ি একই এলাকায়। পুরনো বিরোধ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে।’   

এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, যুবলীগ নেতার বাম হাতের আঙুল কেটে নেওয়ার ঘটনায় একটি এজাহার দায়ের হয়েছে। দ্রুত সময়ের ভিতরে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।