রিমান্ডে নেওয়া কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন তিতাসের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক মাহামুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী এসএম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মুনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, হেল্পার মো. হানিফ মিয়া ও কর্মচারী মো. ইসমাইল প্রধান।
বিকালে গ্রেফতার আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ জানান, আসামিরা কেউ ছয়, কেউ বা মাস সাত মাস কেউ বা তারও কম সময় ধরে নারায়ণগঞ্জে কাজ করছেন। মসজিদে বিস্ফোরণের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। এ কারণে তারা রিমান্ডের বিরোধিতা করে আসামিদের জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে চার প্রকৌশলীসহ আট কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে ঘটনার পর ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানা পুলিশ বাদী হয়ে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে মামলা করে। মামলাটি নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল আলম বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি সিআইডি তদন্ত করলেও জেলা পুলিশ তদন্তে সহায়তা করছে। এ ঘটনার সঙ্গে কারো সম্পৃক্ততা খুঁজে পেলে জেলা পুলিশ তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও শিশুসহ ৩৯ জন দগ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা প্লাস্টিক সার্জারি ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আইসিইউতে আশঙ্কাজনক রয়েছেন চার জন। এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাসের প্রকৌশলীসহ ৮ জন গ্রেফতার