মুজিববর্ষের কেক বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সেই অধ্যক্ষ বরখাস্ত

আব্দুর রহমান মিয়াবরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মিয়াকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মুজিব জন্মশতবর্ষ পালনে স্কুলের জন্য আনা কেক নিয়ে তিনি ঢাকায় নিজের বাসায় চলে যান। এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গভর্নিং বডির সভাপতি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পারিচালক ডা. সিরাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

গভর্নিং বডির সভাপতি জানান, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। ১৭ মার্চ সকালে শতবর্ষ উদযাপন করতে গিয়ে সবাই জানতে পারেন অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মিয়া ১৬ মার্চ বিকালে শতবর্ষের কেক নিয়ে তার বাড়ি চলে গেছেন। তার বাড়ি গিয়ে উপস্থিত সবাই জানতে পারেন তিনি ওই কেক নিয়ে তার স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকায় চলে গেছেন। 

অধ্যক্ষের লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার কারণে উপস্থিত সদস্যরা, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

ওই সময়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মজিবুর রহমান খান, আবুল বাশার হাওলাদারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা অধ্যক্ষের বিচারের আশ্বাস দেন। ছয় মাস পর সোমবার বিকালে কলেজ সভাপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ১২ জন সদস্যের মধ্যে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানসহ ১১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ১১জন সদস্যর মধ্যে ১০ জন সদস্যের মতামতে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানকে তার দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সভায় কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উপেন্দ্র নাথ বিশ্বাসকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর দায়িত্ব প্রদান করেন গভর্নিং বডি। 

গভর্নিং বডির সভাপতি আরও জানান, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে এর আগেও সরকার ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করার একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। তিনি জানান গোয়েন্দা তালিকা মতে, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মিয়া জামায়াতের উপজেলা পরিচালনা কমিটির একজন সক্রিয় সদস্য।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।