সেফটিপিনের চেইন তৈরি করে গিনেস বুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পার্থ

120195580_1258323864500992_4241426616630255805_n

সোনালি রঙের ছোট সেফটিপিন দিয়ে পৃথিবীর দীর্ঘতম চেইন তৈরি করে গিনেস বুকে নাম লেখালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের প্রয়াত জগদীশ চন্দ্র দেবের কলেজপড়ুয়া সন্তান পার্থ চন্দ্র দেব। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডাকযোগে তার কাছে বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতির সনদ এসে পৌঁছায়। এরই মধ্য দিয়ে গত ২০১৮ সালে রেকর্ড করা ভারতের গুজরাটের হার্শা নান ও নাভা নান নামের দুই ব্যক্তির রেকর্ড ভাঙেন তিনি। এখন তার লক্ষ্য স্ট্যাপলার পিন দিয়ে তারচেয়ে বড় চেইন তৈরি করে নিজের করা রেকর্ড ভেঙে নতুন করে রেকর্ড করা।

120195859_848199589267570_6158016750626308656_n

পার্থ জানান, নিজেদের পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা ও পড়াশোনার পাশাপাশি নতুন কিছু করার তাগিদ অনুভব করেন তিনি। গুগলে সার্চ করে জানতে পারেন, ২০১৮ সালে ভারতের গুজরাটে হার্শা নান ও নাভা নান নামে দুই যুবক ১৭৩৩.১ মিটার দৈর্ঘ্যের চেইন তৈরি করে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এই রেকর্ড ভেঙে নতুন বিশ্ব রেকর্ডের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই কাজ শুরু করেন পার্থ। নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২৩ টি সেফটিপিন দিয়ে একের পর একটির সংযোগ স্থাপন করে একাই ২৪০১.৮৩ মিটার চেইন তৈরি করেন তিনি। চেইনটি তৈরি করতে তার ৪৫ দিনে ২৪১ ঘণ্টা ৪২ মিনিট সময় লাগে। সময়ের হিসেব করার জন্য সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় আড়াই কিলোমমিটার দৈর্ঘ্য সেফটিপিনের চেইনটি তার নিজ এলাকা ফান্দাউক শ্রীশ্রী পাগল শংকর মন্দির প্রাঙ্গণে প্রদর্শন করেন।

120132505_2651902921806790_6852971454718556200_n

পরে সব পরীক্ষা সম্পন্ন করে ইমেইলের মাধ্যমে সব ডাটা পাঠান গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে। এই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৯ টা ০১ মিনিট গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তার নাম স্থান পায়। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর গিনেস কর্তৃপক্ষ ডাকযোগে বিশ্ব রেকর্ডের সার্টিফিকেট পাঠায় পার্থ চন্দ্র দেবের ঠিকানায়।

বিশ্ব রেকর্ড করার পর পার্থ জানান, 'এবার নিজের রেকর্ড ভাঙার জন্য আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। সামনে স্ট্যাপলার পিন দিয়ে এর চেয়ে বড় চেইন তৈরি করবো।'

পার্থ বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে বিএসএস (ডিগ্রি) শেষ বর্ষের ছাত্র। এর পাশাপাশি তিনি হবিগঞ্জের সাঙ্গবেদ সংস্কৃতি কলেজর ব্যাকরণতীর্থ ও স্মৃতিতীর্থ (আদ্য) বিভাগে পড়াশোনা করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি পার্থ ফান্দাউক বাজারে বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বড় ভাইকে সহযোগিতা করেন।