এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ কর্মীদের শাস্তি চায় আ.লীগ

fa631d50e6ca3fb4bb313aec8edc185f-5f6ecdf21377e

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূ (১৯) ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সিলেট আওয়ামী লীগের নেতারা। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এই দাবি জানান তারা। এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এমসি কলেজের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। অধ্যক্ষের আশ্বাসের পর প্রায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। তবে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।

এসময় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ উদ্দিন আহমদ বলেন, '১২৮ বছরের কলেজের যে ঐতিহ্য, তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় কলঙ্ক লেগেছে কলেজে।'

এ ব্যাপারে এমসি কলেজের সাবেক ছাত্র ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, 'আমাদের দাবি একটাই, আসামিদের গ্রেফতার করা হোক। এই ঘটনায় আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর কাছে কেউ কোনও তদবির করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।'

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, 'কেউ অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। ইতোমধে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলে দিয়েছি অপরাধী যারাই হোক, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। আমরা অপরাধীদের শাস্তি চাই।'

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন জানান, ছাত্রাবাসের ঘটনাটি সত্যি লজ্জাজনক। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তিনি জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, 'এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনা আমাদের মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলেছে। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।'

এর আগে, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো- এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।