সভায় বক্তারা বলেন, ‘গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে পর্যটনে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে তৃণমূল জনগণকে অর্থনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কমিউনিটি ট্যুরিজমে আমাদের যথেষ্ট সুযোগ থাকার পরও আমরা সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারছি না। অথচ এই ধরনের ট্যুরিজম কাজে লাগানো গেলে একদিকে যেমন কমিউনিটির উন্নয়ন সম্ভব হবে, একই সঙ্গে সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।’
জেলার প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে অভিযোগ করে বলেন, ‘চুক্তিতে স্থানীয় পর্যটন জেলা পরিষদের কাছে ন্যস্ত করা হলেও পর্যটন দিবসে তাদের কোনও ভূমিকা আমরা দেখতে না পেয়ে হতাশ। আজ এসব অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিত না থাকাটা প্রশ্ন তৈরি করেছে।’ পর্যটনের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার অহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, ‘অপার সম্ভাবনা থাকার পরেও সমন্বয়হীতার অভাবে প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। যেসব পর্যটন স্পট ও ঝরনা রয়েছে সেসব স্থানে কিছু সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা গেলে পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলা সম্ভব।’
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিল্পী রানী সাহা, পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক কবির, পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়াসহ জেলার বিভিন্ন পর্যটন উদ্যোক্তারা।
আলোচনা সভা শেষে পর্যটন দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।