হানিফ জানান, আজ কুড়িগ্রাম জেলা শহরে পৌঁছে রাত্রী যাপন করে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার উদ্দেশে আবারও পদযাত্রা শুরু করবেন তিনি।
এর আগে, শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একক পদযাত্রা শুরু করেন হানিফ বাংলাদেশি।
হানিফের বাড়ি নোয়াখালি জেলা সদরের জাহানাবাদ গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মান্নান।
পদযাত্রা সম্পর্কে হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র। আমরা চাই ভারত প্রতিবেশীর সঙ্গে মানবিক আচরণ করুক। কিন্তু প্রতিনিয়ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ বিভিন্ন ঠুনকো অযুহাতে নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যা করে চলছে। যখন যে দল রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে তারা কোনও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। এই সরকারের ১২ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে, এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে প্রায় ৫০০ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ।’ তিনি সীমান্তে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বাংলাদেশ সরকারকে জানিয়ে দিতে চাই, অবিলম্বে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।’ বহুমাত্রিক কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীন ও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিবেশীর সম্পর্ক নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
পরে রাজারহাট থেকে কুড়িগ্রাম শহরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন হানিফ।
হানিফ জানান, মঙ্গলবার ফুলবাড়ী উপজেলা শহরের উদ্দেশে পদযাত্রা করবেন তিনি। সেখান থেকে পদযাত্রার ২০ তম দিনে বুধবার সকালে উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তের উদ্দেশে পদযাত্রা করবেন তিনি। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি এই সীমান্তেই বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারান বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী। ফেলানীর বাবা-মার সঙ্গে হানিফ সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানান।
এদিকে, গণ কমিটি কুড়িগ্রাম জেলা শাখা সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম শহরের রেল স্টেশন এলাকায় জেলা কমিটির পক্ষ থেকে হানিফ বাংলাদেশিকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
আরও খবর: কুড়িগ্রাম সীমান্ত অভিমুখে হানিফের পদযাত্রা