যুক্তরাষ্ট্রে মাগুরার দম্পতি গুলিতে নিহত, বিস্মিত স্বজনেরা

ছোটন ও চায়না দম্পতি

যুক্তরাষ্ট্রে মাগুরার সন্তান আবুল আহসান হাবিব ছোটন এবং তার স্ত্রী সোহেলী আক্তার চায়নার ঘরের ভেতরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুতে হতভম্ব তাদের স্বজনেরা। এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী উভয়ের পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাশাপাশি এমন ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন তারা।

মাগুরা শহরের আতর আলী রোডের সাবু তলায় ছোটন ও চায়নার পৈত্রিক বাড়ি পাশাপাশি অবস্থিত। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আহসান হাবিব ছোটনের বাড়িতে তার বৃদ্ধ মা এবং দুই ভাই থাকলেও সোহেলী আক্তার চায়নার বাড়িতে এখন কেউ থাকেন না।

চায়নার চাচাত ভাই সৈয়দ ফজলুল ইকবাল প্রিন্স জানান, ২৯ বছর আগে ছোটন এবং চায়না বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। চায়নার পরিবারের অনেক সদস্যই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেন। সেই সূত্রে ৯ বছর আগে ছোটন ও চায়নাও যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনায় বসবাস শুরু করেন। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ২১ ও ২৭ বছর। চায়না বিউিটিশিয়ান হিসেবে সেখানে প্রতিষ্ঠিত। অপরদিকে ছোটন শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ। চায়না ও ছোটনের মধ্যে ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হত বলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আত্মীয়দের কাছে শুনেছেন। রবিবার রাত ১২টার দিকে তিনি জানতে পারেন গুলিতে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মারা গেছেন। তাদের দ্বন্দ্ব নিয়ে চায়না পুলিশেও কয়েকবার অভিযোগ করেছেন বলে তিনি জানান। তবে গুলিতে নিহত হওয়ার ব্যাপারটিতে পরিবারের সবাই খুব অবাক হয়েছেন।

এদিকে আহসান হাবিব ছোটনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছোটনের মা জাকিয়া করিম শোকে পাথর হয়ে আছেন। তিনি এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে আগ্রহ দেখাননি।

ছোটনের দুই ভাইয়ের কাছে জানা যায়, ছোটন ক্যান্সারের রোগী এবং মানসিক ভাবেও অসুস্থ ছিল। তারা জানতে পেরেছেন গুলিতে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গতরাতে মারা গিয়েছেন। তারা এ ঘটনায় বিস্মিত।

ছোটনের বড় ভাই আরিফ হাসান রিটন জানান, কাল রাতে আমরা জানতে পেরেছি ছোটন এবং তার স্ত্রী গুলিতে মারা গিয়েছে। কিন্তু কিভাবে মারা গেলো বা কে কাকে মারলো তা বলতে পারছি না। তবে এ বিষয়ে সেখানকার পুলিশ তদন্ত করছে।