বান্ধবীর বাসায় গিয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণী, অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি

চট্টগ্রাম

বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে গিয়ে এক তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার চান্দু মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে মহানগর হাকিম খাইরুল আমিনের আদালতে চান্দু এই জবানবন্দি দেয়।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার এসআই নুরুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে চান্দু মিয়া জানিয়েছে, এক হাজার টাকার বিনিময়ে ভিকটিমের বান্ধবী নুরী ভিকটিমকে তার বাসায় দিয়ে যায়। এর আগেও নুরী তাকে এ ধরনের কাজে সহযোগিতা করেছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে চান্দু মিয়ার বাসায় ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। চান্দু মিয়ার চারতলা বাড়িতে নুরী ও তার স্বামী ভাড়া থাকে।

ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিল, ভিকটিম তরুণী সপ্তাহখানেক আগে ফেনী থেকে নগরীর আগ্রাবাদে সিডিএ আবাসিক এলাকায় চাচার বাসায় বেড়াতে আসেন। তার চাচাতো বোনের বান্ধবী নুরী। সেই সুবাদে নুরীর সঙ্গেও ওই তরুণীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। রবিবার সন্ধ্যায় নুরী ওই তরুণীকে তার বাসায় বেড়াতে নিয়ে যায়। পরে রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার দিকে নুরী কৌশলে ওই তরুণীকে চান্দুর বাসায় নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাকে বাসার ভেতরে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর চান্দু মিয়া ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর নুরী ওই তরুণীকে তার চাচার বাসায় পৌঁছে দেয়। কিন্তু তাকে বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে বাসার লোকজন জিজ্ঞেস করলে তরুণীটি সবকিছু খুলে বলেন। এরপর তারা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই নুরী আক্তারসহ তিন জনকে আটক করে। আটক অপর দুজন হলো নুরী আক্তারের স্বামী মো. অন্তর (২২) ও রবিন হোসেন (২২)। পরে ভিকটিম থানায় মামলা দায়ের করার পর তিন জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ঘটনার পরপরই গাঢাকা দেওয়ায় ঘটনার মূলহোতা চান্দু মিয়াকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে চান্দু মিয়াকে নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন নিজামউদ্দিন আউলিয়া মার্কেটের পাশে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।