নালিতাবাড়ীতে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৪

অভিযুক্ত গৃহকর্তা হারুন
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গৃহকর্তা হারুনুর রশিদের বিরুদ্ধে কিশোরী গৃহকর্মী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে হওয়া মামলায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকাল পর্যন্ত বিভিন্নস্থানে টানা অভিযান চালিয়ে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এলাকাবাসী, ভিকটিম ও পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, উপজেলার গাছগড়া গ্রামের দিনমজুর হযরত আলী ওরফে হযরত পাগলার সঙ্গে তার স্ত্রী লতিফা বেগমের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় বেশ কয়েক বছর আগে। পরে লতিফা ঝিয়ের কাজ করে এবং হযরত আলী বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছিলো। এ অবস্থায় তাদের কিশোরী মেয়েকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে উপজেলার ঘাইলারা গ্রামের হারুনুর রশিদের (৩৫) কাছে গৃহকর্মী হিসেবে পাঠায়। প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর রাতের বেলায় গৃহকর্তা হারুন পাশের কক্ষে প্রবেশ করে কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে মধ্যস্থ্যতায় আড়াই লাখ টাকায় আপসরফা করে প্রায় এক মাস আগে ওই কিশোরী গৃহকর্মীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

কিন্তু ধামাচাপা দেওয়া এই ঘটনাটি ধীরে ধীরে লোকমুখে প্রচার হয়ে পড়লে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এতে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে মঙ্গলবার দুপুর থেকে থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চালায়।

বুধবার বিকাল পর্যন্ত ওসি বছির আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম কিশোরীকে পাশের হালুয়াঘাট উপজেলার রণকুঠুরা গ্রামে তার ফুফাতো ভাই জাহিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে জাহিদুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম ও হাসমত আলীকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য শেরপুর পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া ঘটনায় কিশোরীর বাবা হযরত আলী বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত প্রধান আসামি হারুনসহ অন্যদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।