এমপি নিক্সনের আচরণের সুষ্ঠু বিচার চায় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ

ফরিদপুরফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভাঙ্গা উপজেলা এসিল্যান্ড বিষয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবুর চৌধুরী নিক্সনের অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে তারা ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের কাছে এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি এমপির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

গত শনিবার (১০ অক্টোবর) চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেন। তবে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে এ নিয়ে তিনি জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাচনে দায়িত্ব পালনরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন ও হুমকি দেন। এ বিষয়ে দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করতে এসে তার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং পাশাপাশি উক্ত ঘটনার প্রতি তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে দোষী ব্যক্তির আইনানুগ শাস্তি কামনা করেন। আর বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্যও অনুরোধ করেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এসময় তারা জেলা প্রশাসককে আশ্বস্ত করেন তারা সর্বাবস্থায় জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সকল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার ভূমিসহ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পালনে নিয়োজিত সবার প্রতি তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর আচরণের কারণে ফরিদপুরের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হয়েছে। এজন্য তার উপযুক্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

সভায় উপস্থিত নেতারা আরও বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জেলা প্রশাসক অতুল সরকারকে একজন এমপি যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন তা একজন সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন সাধারণ ভদ্রলোকের পক্ষে সম্ভব না।

এসময় ফরিদপুরের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুদ্দির মানু, দফতর সম্পাদক অমিমেষ রায়, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক দিপক মজুমদার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রাজ্জাক মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী, আবু নাইম, সোহেল রেজা বিপ্লব, শওকত আলী জাহিদ, মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহেনেয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে দুপুরে এনজিও ফোরামসহ জেলার বিভিন্ন সংগঠন এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছে।