জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উন্নয়ন চান এলজিআরডি মন্ত্রী

কুমিল্লায় এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামজনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দেশের উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। শনিবার (১৭ অক্টোবর) কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন মন্ত্রী।

কুমিল্লায় সিটি করপোরেশনসহ ১৭ উপজেলার স্ব স্ব ক্ষেত্রে উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লার উন্নয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কর্মকর্তারা প্রশংসার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন এবং যাবেন। করোনায় মহামারিতে এখানকার ডিসি, এসপিসহ জনপ্রতিনিধিরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন, অত্যন্ত ভালো কাজ করেছেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কুমিল্লার উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ কুমিল্লার ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। এই কুমিল্লাকে একটি সুন্দর শহরে রূপান্তর করা সবার হৃদয়ের দাবি। আমি চাই আমাদের সম্মিলিত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কুমিল্লা একটি সুন্দর শহরে রূপান্তরিত হোক।’

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেসবাহ উদ্দিন, যুগ্ম সচিব নূরে আলম সিদ্দিকী, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের প্রমুখ। এসময় কুমিল্লার এলজিইডি, জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, কুমিল্লা ১৭ উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান এবং নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।কুমিল্লায় এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

যারা অতীত মনে রাখে না তারা জীবনে বড় হতে পারে না

এর আগে শনিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা ক্লাবে ‘মুক্তিযোদ্ধার কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ২১ জন কৃতি সন্তানকে বিভিন্ন অবদানের জন্য ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। যাকে ছাড়া বাংলাদেশ ছিল অস্তিত্বহীন। মনে রাখতে হবে, যারা অতীত মনে রাখে না তারা জীবনে বড় হতে পারে না। ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা হচ্ছে স্বাধীনতার ইতিহাসের বাহক। তাদের সন্তানরা ভাগ্যবান। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানে।’ 

কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মামুম হামীদের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। বিশিষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল প্রমুখ।