কয়রা উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ধিরাজ কুমার রায় বলেন, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বাধ ভেঙে নদীর নোনাপানিতে ডুবে আছে দক্ষিণ চক কালী মন্দির এলাকা। পূজা চলা অবস্থায় বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করায়, ভক্তদের ময়লা ও দুর্গন্ধময় পানিতে দাঁড়িয়েই পূজার কাজ করতে হয়েছে। এ পানি পায়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই চুলকাতে শুরু করে। আর ময়লাযুক্ত পানির কারণে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও পবিত্রতা নষ্ট হয়।
তিনি আরও বলেন, কয়রায় এ বছর ৫১ মন্দিরে দুর্গোৎসব পালিত হচ্ছে। দক্ষিণ চক কালী মন্দির ছাড়া আরও কয়েকটি মন্দিরে বাঁধ ভাঙায় পানি উঠেছে।
কয়রা উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হোসে জানান, আম্পানের আঘাতের পর দুর্বল হয়ে পড়া কয়রা সদরের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার শেখ বাড়ি হাফিজিয়া মাদ্রাসার সামনের বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এ পানিতেই মন্দির ও আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয় বলে জানান তিনি।