স্ত্রীর হাত ও মুখ বেঁধে শরীরে খুন্তির ছ্যাঁকা

বরিশালবরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় হাত ও মুখ বেঁধে গৃহবধূ সমাপ্তি সরকারের শরীরে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকদের বিরুদ্ধে। আহত ওই গৃহবধূকে চিকিৎসা না দিয়ে ঘরে আটকে রাখার খবরে বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে বাবার বাড়ির লোকজন এসে উদ্ধার করে তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

সমাপ্তি উপজেলার বাহাদুপুর গ্রামের সদানন্দ সরকারের মেয়ে এবং স্বামী বিপুল বালা উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের আহুতি বাটরা গ্রামের সদানন্দ বালার ছেলে। দুই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক বছরের শিশু সন্তান রয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সমাপ্তি জানান, বিয়ের পর থেকেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হলে শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো। এ জন্য পারিবারিক বিষয় নিয়ে আমি যতটা পারি নীরব থাকার চেষ্টা করতাম। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে বিপুল ও তার ভাইয়ের স্ত্রী ববিতার সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় বিপুল ও তার পরিবারের লোকজন আমার হাত ও মুখ বেঁধে মারধর করে। এক পর্যায়ে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে তাতে লোহার খুন্তি গরম করে দু-হাত ও পিঠে ছ্যাঁকা দেয়। ছ্যাঁকা দেওয়ার সময়ও মারধর করে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে।

সমাপ্তির ভাই সুশান্ত সরকার বলেন, প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পেয়ে সমাপ্তিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বামীর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করা সাহস পাচ্ছে না বলে জানান সুশান্ত।

আগৈলঝাড়ার থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে নির্যাতনের শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে মামলা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।